সর্বশেষ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

এগারো মাস কারারুদ্ধ জীবন; দিনবদলের সনদের খসড়া প্রনয়ণ; জয়তু শেখ হাসিনা…

মকিস মনসুর: সত্য চিরন্তন সত্য সত্যকে কখনো মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না ; সত্য চিরকালই সত্য থেকে যায় । মিথ্যা দিয়ে সাময়িক সত্যকে চাপা দিলেও যথা সময়ে সেই সত্য মিথ্যাকে ভেদ করে সত্য আরও বেশী করে বিকশিত হয় । আবার বাঙালি জাতি চির দুর্বার, চির দুর্মর। যুগে যুগে তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছে। যার প্রমাণ ১/১১’র তে দেখিয়েছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা রত্ন ম্যাদার অব ইউমিনিটি মানণীয় প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী জননী, শেখ হাসিনা দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তির মধ্য দিয়ে হয়েছিলো সত্যের জয়. ঐদিন ছিলো অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরার দিন। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের হয়েছিলো মুক্তি। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন বাংলাদেশের সুশীল সমাজের তথাকথিত কিছু ব্যক্তি, কিছু সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠৈছিল। তারাই ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশে গুম, খুন ও হত্যার রাজনীতি করেছে। তারাই দেশকে টানা পাঁচ থেকে ছয় বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। যারা নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করেছিল, তারাই আবার নির্বাচনে বৈতরণী পার হওয়ার জন্য মানুষের কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে বিতর্কিত করে নিজেদের পছন্দমতো ইয়াজউদ্দিন মার্কা সরকার গঠন করে আবার ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। বাংলার মানুষকে অত্যাচার নির্যাতন করে বাংলাদেশকে বার বার যারা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করে, সেই সরকারের প্রধানকে প্রথমে গ্রেফতার করা হয়নি। অথচ যিনি গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের ভাত ও কাপড়ের জন্য, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছেন, সেই শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকেই গ্রেফতার করে।

সেনা সমর্থিত ১/১১’র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই ভোরে ধানমন্ডির বাসভবন থেকে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে.।এদিন ভোরে তার ধানমণ্ডির বাসভবন থেকে যৌথবাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রথমে তাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সেখান থেকে সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগারে নিয়ে আটক রাখা হয়।এদিকে জেলে বন্দি অবস্থায় শেখ হাসিনার সঙ্গে দীর্ঘদিন স্বজনদের সাক্ষাৎ বন্ধ রাখা হয়। ফলে তার চিকিৎসা প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। গ্রেনেড হামলায় আহত কান ও চোখ চিকিৎসার অভাবে আরো ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। মানসিকভাবে শক্ত থাকলেও, শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাকে স্লো-পয়জনিং করা হচ্ছে বলেও আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে ঘটতে, অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছালেও তার জন্য ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। এরকম পরিস্থিতিতে, ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ, আদালতে হাজিরা দিতে নেওয়া হলে আইনজীবীদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু পারেনি। এখন বিনাচিকিৎসায় মারার চেষ্টা করছে।’

এসময় শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘১৯৭১ সালে সন্তানসম্ভবা ছিলাম। পাকিস্তানিরা মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন কারো সাথে দেখা করতে দেয়নি। এখন এরা চিকিৎসাসেবা ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না। আমার ওপর যে অবিচার করা হয়েছে, তার ভার আমি আল্লাহ ও জনগণের ওপর দিচ্ছি।’

জেলে তাকে সঠিক চিকিৎসা না দেওয়ায়, একপর্যায়ে তার অসুস্থতা আশঙ্কাজনক পর্যায়ে চলে যায়। অবশেষে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা টানা ২০ দিন চিকিৎসার পর তাকে আপাত স্বাভাবিক করে তোলেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়েও দেশ ও জনতার কথা ভুলে যাননি নেত্রী। ২০০৭ সালের জুলাই মাসে, তাকে যখন নির্জন কারাগারে ঢুকিয়ে মৃত্যুর ভয় দেখানো হচ্ছিলো, ঠিক তখনই, আগস্ট মাসে দেশজুড়ে তখন চলছিল ভয়াবহ বন্যা। গণমাধ্যমে এই খবর দেখে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা পাঠান তিনি। এমনকি সেই বছরের নভেম্বরে যখন সিডরের আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় উপকূলবর্তী দেশের এক তৃতীয়াংশ অঞ্চল, তখনও দলমত নির্বিশেষে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আওয়ামী লীগের প্রতি নির্দেশ দেন তিনি।

পরবর্তীতে, সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে, দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চরমে উঠলে, উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। ২০০৮ সালের মে মাসে আদালতে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলার সময় দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন জননেত্রী। একইসঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।

শেখ হাসিনা সহ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেপ্তারের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এসময় বাংলাদেশে রাজনৈতিক কর্মকান্ড – নিষিদ্ধ থাকলে ও বিভিন্ন ভাবে শেখ হাসিনার মুক্তি দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলে আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো। রাজনৈতিক সহ বিভিন্ন দিক থেকেও শেখ হাসিনার মুক্তির দাবি ওঠে। বাংলাদেশের মাটিতে বিশেষ করে তৃনমূল নেতা-কমীদের আন্দোলনে ফলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন বিশেষ করে প্রবাসের মাটিতে আওয়ামীলীগ.ষুবলীগ.ছাত্রলীগের আন্দোলনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক জনমত গঠন করা ছাড়া ও প্রবাসী কমিউনিটি নেতাদের উদ্দোগে বিশেষ করে বৃটিশ এমপি. ইউরোপিয়ান পালামেন্ট মেম্বার.সহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এর সাথে লবিং করা সহ ক্রমাগত চাপ, আপোষহীন মনোভাব ও অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। ২০০৮ সালের এই দিনে দীর্ঘ ১১ মাস কারা ভোগের পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন.। তার মুক্তিতে সেদিন যেন মুক্তি পেয়েছিল গণতন্ত্র। ১১ জুন তাই গণতন্ত্রের মুক্তির দিন। অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরার দিন।

মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নত সমৃদ্ধ সুখী শান্তিময় সোনার বাংলাদেশ গড়বার জন্য পিতার মতই সততা, দেশপ্রেম, মানুষের জন্য ভালোবাসা, প্রজ্ঞা, দূরদৃষ্টি আর অসীম সাহস নিয়ে সকল প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। ২০০৭ এর ১৬ জুলাই থেকে ২০০৮ এর ১১ জুন পর্যন্ত এগারো মাস কারারুদ্ধ জীবন কাটিয়ে জনতার নেত্রী জনতার মাঝে ফিরে এসেছিলেন। শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে, এমনকি পৃথিবী থেকেও চিরতরে সরিয়ে দেবার সব অপচেষ্টা করেও ষড়যন্ত্রকারীরা সেদিন জনতার চাপের কাছে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিল। সেনাসমর্থিত তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাধ্য হয়েছিল শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে।

নির্জন কারাবাসের দুঃসহ সে দিনগুলোতে শেখ হাসিনাকে দুর্বল করতে কিংবা তাঁর দৃঢ়তায় চির ধরাতে পারেনি কেউ। কোন ভয় ভীতি বা প্রলোভন দিয়ে তাঁকে পরাভূত করা যায়নি। তাই বিশেষ কারাগারের সে নির্জনতায় বাংলার জনগণের ওপর পিতার মতই অগাধ আস্হা, বিশ্বাস আর আকাশসম ভালোবাসা নিয়ে দেশ আর মানুষের কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যতের পথরেখা, আমাদের দিনবদলের সনদের, খসড়া প্রনয়ণ করেছেন।

তিনি সেদিন মুক্ত হয়ে ফিরে এসেছিলেন। সত্যি হয়েছিল সেদিন তাঁর অভয়বাণী – “আমাকে ওরা আটকে রাখতে পারবে না। বাংলার মানুষ আমাকে মুক্ত করবেই। ওরা নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। বাংলার মানুষ আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।”
করোনার যুদ্ধের বাংলাদেশের প্রধান সেনাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর ও সংসদে বলেছিলেন, করোনার সময় অনেক দেশ বাজেট দিতে পারছে না। কিন্তু আমরা একদিকে যেমন করোনা মোকাবিলা করবো, পাশাপাশি আমরা দেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিত করবো। তারা যেন কষ্ট না পায় সেজন্য যা যা করণীয় করে যাবো। আমি তো এখানে বেঁচে থাকার জন্য আসিনি। আমি তো জীবনটা বাংলার মানুষের জন্য বিলিয়ে দিতে এসেছি, এটাতে তো ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ভয়ের কী আছে! প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসে মরি, গুলি খেয়ে মরি, অসুস্থ হয়ে মরি, মরতে একদিন হবেই। এই মৃত্যু যখন অবধারিত সেটাতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমি ভয় পাইনি। কখনো ভয় পাবো না। আমি যখন বাংলাদেশে ফিরে আসি, সেটা ছিল সেই বাংলাদেশ, যেখানে আমার বাবা, ভাই, বোন, শিশু ভাইটিকে পর্যন্ত হত্যা করা হয়েছিল। আমাদের পরিবারের বহুজনের সদস্য বুলেটবিদ্ধ, আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী বুলেটবিদ্ধ বা স্প্লিন্টার নিয়ে বেঁচে আছেন।তিনি বলেন, আল্লাহ জীবন দিয়েছেন, একদিন সে জীবন নিয়ে যাবেন। আর আল্লাহ মানুষকে কিছু কাজ দেন। সেই কাজটুকু যতক্ষণ পর্যন্ত শেষ না হবে ততক্ষণ হয়তো আমি কাজ করে যাব। যখন কাজ শেষ হয়ে যাবে, সময় শেষ হবে, তখন আমি চলে যাব। তাই এই নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।

করোনা ভাইরাসের মহামারী ও ঘূর্ণিঝড়ের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগে শক্ত হাতে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা চতুর্থ বারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অস্বাভাবিক এই পরিস্থিতিতে সামগ্রিক দিক সামলাতে গণভবন থেকেই প্রধানমন্ত্রী চালিয়ে যাচ্ছেন সার্বিক দাপ্তরিক কর্মকান্ড। তাঁর নজরদারিতে বাদ যায়নি চিকিৎসকের সুরক্ষা নিশ্চিতসহ শ্রমজীবী মানুষের খাদ্য সংকট মেটানো পর্যন্ত।
করোনা ও ঘূর্ণিঝড়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র মানুষের হাতে খাবার পৌঁছে দেয়াসহ অর্থর্নীতির ক্ষতি পুনরুদ্ধারে পদক্ষেপ নিয়েছেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনের খোঁজ-খবর নেয়া যাবতীয় কর্মকান্ড নিজেই তদারকি করছেন। অসহায়দের কাছে সাহায্য প্রদান সহ সরকারি সহযোগিতা পৌছে দিতে নির্দেশ দেন প্রশাসন ও দলীয় নেতা-কর্মীদের। অনিয়মের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই দিয়েছেন কঠোর হুঁশিয়ারি।

এদিকে গত বৃহস্পতিবার ছবির মতো অপূর্ব ও মনোমুগ্ধকর নির্মাণশৈলীর ৫০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। ২০২৩ সালের মধ্যে সারাদেশে পর্যায়ক্রমে এমন ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণ করা হবে। প্রথমে সৌদি সরকার এ মসজিদগুলো নির্মাণে সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তীতে তারা তাদের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে যায়। কিন্তু দমে যাননি জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি নিজ উদ্যোগে অসীম দৃঢ়তার সাথে পদ্মাসেতুর মতো সম্পূর্ণ দেশীয় খরচে মসজিদগুলো নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন।ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা, মসজিদের বিদ্যুৎ বিল মওকুফ, জাতীয় বেতন স্কেলে ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের বেতন-ভাতা প্রদান এমন অনেক অনেক মহতি উদ্যোগসহ আরও যা যা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার এই দেশে ইসলামের জন্য করেছে; বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মের পর থেকে অদ্যাবধি ইসলাম ধর্মের সেবায় অন্যান্য সকল সরকার মিলে তার এক চিলতেও করেনি।
এমনকি বিশ্বে কোনো দেশে একসঙ্গে এত বিপুল সংখ্যক মসজিদ নির্মাণ এটাই প্রথম। সারা দেশে মডেল
মসজিদে শুধু নামাজের স্থান নয়, ইসলামী গবেষণা, সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চারও স্থান। সে লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা শহরে একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে সরকার।

নামাজের জন্য নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা জায়গা রয়েছে এসব মডেল মসজিদে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় নারীদের মসজিদে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা এটাই প্রথম।

আগামী অর্থ বছরের মধ্যে আরো ১০০ মডেল মসজিদ চালু করা যাবে। আগামী দুই বছরের মধ্যে ৫৬০টি মডেল মসজিদের সবগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে তারা আশা করছেন। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি উন্নত মসজিদ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সরকার সারা দেশে ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। বিশ্বে এ ধরনের প্রকল্প নজিরবিহীন। পদ্মা বহুমুখী সেতুর পর নিজস্ব অর্থায়নে এটা সরকারের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রকল্প।

জানিনা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে কি যাদু আছে যিনি ইইতিমধ্যে সরকারি চাকুরীজীবিদের বেতন দিগুন করে দিলেন ! উৎসব ভাতা চালু করলেন ! মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বাড়িয়ে দিলেন ! বয়স্কভাতা চালু করলেন !
বিধবাভাতা চালু করলেন ! নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করলেন ! জামানত ছাড়াই কৃষকদের ঋণের ব্যবস্থা করলেন ! গ্রামে গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করলেন !

মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি বানিয়ে দিলেন ! অসহায় গৃহহীন ৭০ হাজার পরিবারকে জমি সহ নতুন বাড়ি বানিয়ে দিলেন !
যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি আনতে সড়কগুলো ফোর লেন করলেন! বিনা বেতনে শিক্ষার্থীদের পড়ার ব্যবস্থা করলেন !
বিনা খরচে বই বিতরণ করলেন ! স্কুলে স্কুলে ছাত্রদের মোবাইলে নগত মাসিক উপ বৃত্তির টাকা দিলেন ! মেগা মেগা প্রজেক্টের কাজ শুরু করলেন ! বিনা পয়সায় করোনার টিকা দিলেন ! করোনাকালিন সময়ে নগত অর্থ প্রদান করলেন !
এইবছর ও ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ বাজেট পেশ করলেন। এমনকি শ্রীলংকাকে বিশ কোটি ডলার ঋণ দিলেন !
সঠিক ও যোগ্য ও ক্যারিসমেটিক নেতৃত্বই পারে একটি দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিতে। বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশে জগদ্দল পাথরের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় চেপে বসা সামরিক স্বৈরশাসকদের মামলা-হামলা নির্যাতন নিপীড়নে দিশেহারা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষ প্রত্যক্ষ করতে থাকে নানা গোষ্ঠী দ্বন্দে বিভক্ত নেতৃত্ব, নেতৃত্বশূন্য দলে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব প্রত্যাশীদের দ্বন্দ ও প্রতিযোগিতার অশুভ কার্যক্রম।’

‘ঠিক এমনি এক পরিবেশে ১৯৮১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে বহুধা বিভক্ত দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা পূরণে ৩৩ বছর চার মাস ১৭দিন বয়সে দেশের সর্ববৃহৎ এবং প্রাচীনতম রাজনৈতিক দলটির সভাপতি নির্বাচিত হন জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা। মানবতার জননী, নির্ভীক জননী আজকের প্রধানমন্ত্রী সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। সভাপতি নির্বাচতি হওয়ার তিন মাস একদিন পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে সম্পূর্ণ প্রতিকূল পরিবেশ জেনেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পিতা-মাতা ভাইবোনবিহীন দেশের জনগণের টানে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন’, আজকে প্রত্যাবর্তনের চার দশকে ব্যক্তি শেখ হাসিনাকে বরাবরেই দেখা গেছে কল্যাণমুখী মানসিকতায় যে কোন দুর্যোগ পরিস্থিতিতে সব সামলিয়ে নেওয়ার বলিষ্ট নেতৃত্বের ভূমিকায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের জন্য সুকৌশলে তিনি নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। ১৯৮১ সালের এই দিনে তিনি ফিরে এসেছিলেন প্রিয় মাতৃভূমিতে ফলে তিনিই অসহায় মানুষের ত্রাণকর্তা। তিনি দিক নির্দেশক, অর্থনৈতিক মুক্তির অগ্রযাত্রার বিপ্লবে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।’

‘ভয়কে জয় করে সেদিন তিনি ফিরে এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ এই করোনা সংকটেও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। বাংলাদেশের ইতিবাচক পরিবর্তনের অগ্রনায়ক তিনি। তাকে ঘিরে সুন্দর আগামীর স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ।’, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সেদিন ফিরে এসেছিলেন বলেই এই করোনা সংকটেও বাংলাদেশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। বাংলাদেশের ইতিবাচক পরিবর্তনের অগ্রনায়ক শেখ হাসিনা। তাকে ঘিরে সুন্দর আগামীর স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ।

“বঙ্গবন্ধু কন্যা যেদিন দেশে পা রাখলেন সেদিনই মানুষ আশায় বুক বেধেছিলেন। তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন হবে, এবার আওয়ামী লীগ অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে। সব হয়েছে। নতুন প্রজন্মের জন্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্য তিনি একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছেন।” জীবনের ঝুঁকি থাকার পরও দেশ গড়ার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলেই বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল, জাতি হিসেবে গর্বের।

পরিশেষে বলতে চাই তুমি আছো বলেই পূর্ণতা পেয়েছে বাংলাদেশ ; তোমারই অপেক্ষায় ছিল দীর্ঘ স্বদেশে, পিতা মুজিব দিয়ে গেছে স্বাধীনতা তুমি দেশরত্ন শেখ হাসিনা গড়েছো নতুন এক সোনার বাংলাদেশ। দেশ মাতৃকার টানে নিজেকে করেছো নিয়োজিত তাই বিশ্ববাসীর কাছে রোল মোডেল এক বিশলতা পেয়েছে সোনার বাংলাদেশ
জয়তু শেখ হাসিনা।

যতদিন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতে থাকবে দেশ , ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ। তাইতো উন্নয়ন ও অগ্রগতির অনন্য উচ্চতায় আজ বাংলাদেশ ।

আসুন আজকের এই দিনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে পরম করুণাময়ের নিকট প্রার্থনা করা সহ আমাদের সবার হোক দীপ্ত শপথ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার এগারো মাস কারারুদ্ধ জীবনের দিনবদলের সনদের খসড়া প্রনয়ণ তথা ডিজিটাল বাংলার আলোর মিছিলকে এগিয়ে নিতে মানণীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে যাবো জয় বাংলা. জয় বঙ্গবন্ধু. জয় শেখ হাসিনা. বাংলাদেশ চিরজীবী হোক. জয় হোক মানবতার

লেখক পরিচিতি:- ৯০ এর গন-আন্দোলনের বাংলাদেশের সাবেক ছাত্রনেতা বৃটেনের কমিউনিটি লিডার ও সাংবাদিক মোহাম্মদ মকিস মনসুর.তৎকালীন কনভেনার. ১/১১’র গঠিত দেশরত্ন শেখ হাসিনা মুক্তি আন্দোলন কমিটি ইন ইউকে. তৎকালীন সহ সভাপতি.যুক্তরাজ্য যুবলীগ.তৎকালীন সভাপতি. ইউকে ওয়েলস যুবলীগ।
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি. ইউকে ওয়েলস ছাত্রলীগ. যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় সদস্য, ওয়েলস আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি. জাস্টিস ফর বাংলাদেশ জেনোসাইড ১৯৭১ ইউকের সভাপতি. জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত-বার্ষিকী মুজিববর্ষ সার্বজনীন উদযাপন নাগরিক কমিটি ইউকে ওয়েলসের যুগ্ম আহবায়ক এবং হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ইন ইউকের সভাপতি সহ বাংলাদেশের মহাণ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব সার্বজনীন উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব এর দায়িত্ব পালন করছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: